Skip to main content

কোরআন পড়া শুরু করেছিলাম মুসলমানদের ঘায়েল করতে

আলহামদুলিল্লাহ, আস-সালামু আলাইকুম। মহান আল্লাহ তা'আলার দয়া,শান্তি ও রহমত আপনাদের উপর বর্ষিত হোক।
এটা একজন  নতুন মুসলিম হওয়া নারীর নিজের আর্টিকেল। পড়ুন অনেক কিছু জানতে পরবেন।
আমি ইসলাম গ্রহণ করেছিলাম গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর। এর আগে আমি ছিলাম সংশয়বাদী ক্যাথলিক, ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলাম, কিন্তু চার্চকেন্দ্রিক ধর্মে আস্থাহীন ছিলাম।

প্রথম যখন কোরআন হাতে পেলাম, তখন এর প্রতি আমার ক্রোধ ছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এটা আমি পড়ব আমার মুসলিম বন্ধুদের ভুল প্রমাণ করার জন্য। পরে অবশ্য আমি আরো খোলা মনে এটা পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
পবিত্র কোরআনের শুরু সুরা ফাতেহা দিয়ে। এতে সমগ্র মানবজাতিকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে। আর এটাই আমার মনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। এতে আগের কিতাবগুলোর স্বীকৃতি রয়েছে, তবে ভিন্নভাবে। খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে আমার মনে যেসব সংশয় ছিল, এতে তার অনেকগুলোর স্বীকৃতি ছিল। হঠাৎ করেই আমি পরিণত হয়ে গেলাম।
আমি বুঝতে পারলাম, কোরআনে নৈতিক সত্যের ওপর জোর দেয়। কেউ যদি দর্শনের কথা বলে, তবে বলতে হবে, কোরআনের দর্শন সবার ওপর। এতে একসাথে কোঁতে, হিউম, সার্ত্রে, অ্যারিস্টোটল রয়েছে। মানব অস্তিত্ব নিয়ে কয়েক শ’ বছর ধরে যেসব গভীর প্রশ্নের জন্ম হয়েছে, এতে সেসবের জবাব রয়েছে। সবচেয়ে মৌলিক যে প্রশ্ন, ‘আমরা এখানে কেন?’- এই প্রশ্নের জবাবও কোরআন দিয়েছে।
নবি মোহাম্মদের (সা.) মধ্যে আমি একটি গতিশীল মিশনের অস্তিত্ব পেলাম। তাঁর পূর্বসূরি হজরত মুসা, হজরত ঈসা ও হজরত ইব্রাহিমও এমন মিশনে অংশ নিয়েছেন।
আমার চিন্তা-ভাবনা অনেক বন্ধুর সাথে শেয়ার করলাম। তাদের বেশির ভাগই একমত হলো না। তবে আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বাত্মকভাবে আমাকে সমর্থন করতে লাগল। আমি অনেককে বোঝাতে চাইলাম, ইসলামের অনেক মূল্যবোধের সাথে আমি একমত, মুসলিম হই আর না হই।
আমার ধর্মান্তরকে আমি কখনোই আমার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ‘প্রতিক্রিয়া’ কিংবা বিরোধিতা হিসেবে দেখিনি। বরং আমার কাছে যেসব কাজ সবসময় প্রশংসাভাজন মনে হতো, এটা ছিল তারই স্বীকৃতি।
আবার মুসলিম সমাজের সবকিছুই আমার কাছে ভালো লাগেনি। অনেক নিয়মই আমার কাছে অদ্ভূত মনে হতো।
তবে নবিজির বাণী আমাকে বদলে দিতে থাকল। আমার মনে যে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল, সেটা আমি তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছি। ইসলাম সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ ধর্ম। আমি মনে করি নবিজি (সা.) সবসময় আমাদের ভারসাম্য আর সাম্যের বার্তা দিয়েছেন।

নবিজি (সা.) সবসময় খারাপ থেকে দূরে থাকতে এবং সত্যের প্রতি সাড়া দিতে বলেছেন।
তিনি মনে করেন, ইসলামের সৌন্দর্য তখনই স্বকীয় হয়ে ওঠে, যখন তা পরিস্ফূট হয়, আর এটা তখনই পরিস্ফূট হয়, যখন আপনি এটাকে মানবজাতি আর বিশ্বের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন।
(মরিয়াম ফ্রান্সিস-চেরাহ ১৯৯০-এর দশকে হিট ফিল্ম সেন্স অ্যান্স সেনসিবিলিলিটির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। এখন তিনি আরো বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন ব্রিটেনে ক্রমবর্ধমান হারে ইসলাম ধর্মগ্রহণকারী শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীদের অন্যতম হওয়ার মধ্য দিয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যুক্তরাজ্যে তৈরি ইসলামবিষয়ক বেশ কিছু ভিডিওচিত্র তৈরি করার কাজে নিয়োজিত হয়েছেন।)
অনুবাদ : আসিফ হাসান

Comments

Popular posts from this blog

The Holy Quran with translate and encyclopedic index- মুজামুল কুরআন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। মু’জামুল সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। নতুন করে কিছু বলার নেই। এই মুজামুল কুরআনে আপনি পাবেন একসাথে পবিত্র কুরআনের বাংলা তরজমা সহ পূর্ণাঙ্গ শব্দসূচি ( The Holy Quran with translate and encyclopedic index). দাঈ ভাইয়েরা অবশ্যই ডাউনলোড করুন। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক।   এখান থেকে ডাউনলোড করুন

প্রয়োজনীয় ১০টি ছোট সূরা

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের কাছে একটি android apps  নিয়ে আলোচনা করব। যা থেকে আপনারা প্রয়োজনীয় ১০টি ছোট সূরা শিখতে পারবেন খুব সহজেই।

ভন্ড চরমোনাই পীরের আসল চেহারা(দলিল প্রমাণ সহ)

লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুনঃ সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর। আজ এখানে আলোচনা করবো বাংলাদেশ এর একজন পীর সম্পর্কে, তিনি হলেন চরমনাই পীর সাহেব, তার অনেক ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে, তাই তার আসল চেহারাটা মুসলিমদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরছি, চরমনাই পীর কী মুসলিম ?