Skip to main content

সাবাশ ট্রাফিক সার্জেন্ট অপুর্ব

বিকেল সাড়ে ৩টা। নীলক্ষেত কাঁটাবন চৌরাস্তার মোড়ে প্রচণ্ড যানজট। যানজট সামলাতে মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও জনা দুয়েক ট্রাফিক কনস্টেবল। সিগন্যালের সবুজ বাতি জ্বলে ওঠার আগেই বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার এগিয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সার্জেন্টকে হাতে মোটা লাঠি নিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেল। নীলক্ষেত মোড় থেকে আসা গাড়িগুলো তখন সোজা উত্তর দিকে হাতিরপুল ও পূর্ব দিকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় পশ্চিমদিক থেকে রাস্তার উল্টোপথে দ্রুতবেগে কাঁটাবন মোড়ের দিকে ধেয়ে আসলো একটি দামী পাজেরো গাড়ি। গাড়ির সামনের আসনে গাড়িচালক ও তার সাথে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য।


ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করতে দেখে সেদিকে ছুটে গেলেন পুলিশ সার্জেন্ট অপূর্ব। হাত দিয়ে ইশারা করে থামার নির্দেশ দিলেন। পুলিশ কনস্টেবল কিছুটা মেজাজ দেখিয়ে হাত দিয়ে সামনে থেকে সরে যাওয়ার ভঙ্গিতে বললেন, সচিব স্যারের গাড়ি, সরে দাঁড়ান, তাড়া আছে, যেতে হবে। এর পরের দৃশ্য হিন্দি ছায়াছবি ‘নায়ক’কে হার মানায়। একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই ছবির নায়ক অনীল কাপুরকে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেল ট্রাফিক সার্জেন্ট অপূর্বকে।


 হুঙ্কার ছেড়ে ধমকে উঠে ড্রাইভারকে লক্ষ্য করে বললেন, গাড়ি পেছনে নিন। যেদিকে থেকে এসেছেন সেদিকে ফেরত যান। সারাদিন রাস্তায় রোদে পুড়ি, বৃষ্টিতে ভিজে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, তারপরও বদনাম হয়। আর আপনাদের মতো সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উল্টোপথে এসে যানজট আরো বাড়ান। নিজেদের ভাবেন কী? এ সময় সার্জেন্ট বলেন, গাড়ির কাঁচ নামান, দেখি কোন স্যার আছে। এ কথায় গাড়িচালককে কিছুটা ইতস্তত হতে দেখা গেলে জোরে ধমক দিয়ে জানালার কাঁচ খুলিয়ে দেখতে পান ভেতরে কেউ নেই। পুলিশ ও গাড়িচালক সার্জেন্টের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করলে সার্জেন্ট অপূর্ব ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার বনজ কুমার মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে সচিবের পুলিশ ও গাড়িচালকের ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার বিষয়টি অবহিত করেন।
এ সময় উপস্থিত জনতা ট্রাফিক সার্জেন্টের পক্ষে অবস্থান নিলে অবস্থা বেগতিক দেখে সচিবের গাড়িচালক ও পুলিশ কনস্টেবল বাটা সিগন্যালের দিকে দ্রুত চলে যান। উপস্থিত জনতা তাকে সাহসী ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানাতে থাকে। আলাপকালে সার্জেন্ট অপূর্ব বলেন, চাকরির পরোয়া করিনা। যানজট নিয়ন্ত্রণে সারাদিন পরিশ্রম করি। আইন ভঙ্গ যেই করুক তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। যুগ্ম কমিশনারের নির্দেশে গাড়ির নম্বরপ্লেট, গাড়িচালক ও পুলিশ কনস্টেবলের ফটোগ্রাফ তুলে রেখেছি। সচিব গাড়িতে না থাকলেও পুলিশ কনস্টেবলও সচিব হয়ে যান খেদোক্তি করতে করতে প্রস্থান করেন অপূর্ব। কার্টেসিঃ জাগো নিউজ
সুত্রঃনিউজ সময়

Comments

Popular posts from this blog

জয়া আহসানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে

বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে বলে দাবী করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার। এক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, জয়াকে বাংলাদেশের সানি লিওনি বলে অভিহীত করা হয়েছে এবং তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। এমনকি ‘গেরিলা’ অভিনেত্রীকে খুনের হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও ছেপেছে এই দৈনিকটি।

সহজেই ধরে ফেলুন ফিশিং সাইট । Catch the fishing site

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই আছেন। আজকে আমি আপনাদের জন্য একটি দরকারি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব। নিচে একটি ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া আছে, এর সাহায্যে আপনি সহজেই যেকোন ফিশিং সাইট সনাক্ত করতে পারবেন। সাইটটি আপনাকে বলে দিবে কোন সাইট আপনার জন্য নিরাপদ। তাই আজ থেকে আর চিন্তা নেই, যেকোন সাইটে ব্রাউজ করুন নিশ্চিন্তে।

ভন্ড চরমোনাই পীরের আসল চেহারা(দলিল প্রমাণ সহ)

লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুনঃ সকল প্রসংশা একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, দুরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর। আজ এখানে আলোচনা করবো বাংলাদেশ এর একজন পীর সম্পর্কে, তিনি হলেন চরমনাই পীর সাহেব, তার অনেক ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে, তাই তার আসল চেহারাটা মুসলিমদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরছি, চরমনাই পীর কী মুসলিম ?