আসসালামু আলাইকুম ,
সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক সুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের কাছে এমন একজন কে যাকে নিয়ে পুরো ওয়ার্ল্ড এ এখন তোলপার তার নাম হচ্ছে মুস্তাফিজুর রহমান আসুন তাহলে তার সম্পর্কে খুটি নাটি কিছু জানি
ব্যক্তিগত তথ্য :
তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০১২ সালে ফাস্ট-বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এরপর তাকে বিসিবি’র পেস ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের জন্যও তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
২০১৩-১৪ মৌসুমে খুলনার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আট উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ এ দলের সফরে অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এ সংক্ষিপ্ত সফরের পর অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তিনি বিবেচিত হন ও ধীরে ধীরে বলের বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। শুরুতে তার বলে পেস কম থাকলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।
খেলায় অভিষেক
এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ উইকেট লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন৷ ব্রায়ান ভিটোরি’র পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন মুস্তাফিজুর।
মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ওডিআইয়ের ইতিহাসেব যে-কোন বোলারের তুলনায় সেরা। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়। ভারতকে তিনি তৃতীয়বার ২০০ বা তার নীচে রান তুলতে বাধ্য করান। এরফলে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পায়। এ জয়ে বাংলাদেশ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে উত্তরণ ঘটায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও রুবেল হোসেন ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।[৫]
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে
বর্তমান এ বাংলাদেশে এ আসা জিম্বাবুয়ে এর সাথে তিন ম্যাচে মুস্তাফিজুর তুলে নিয়েছেন ৮ টি উইকেট।
প্রথম ম্যাচ এ কোনো উইকেট না পেলেও ২য় ম্যাচ এ পেয়েসেন ৩ টি উইকেট আর আজকের ম্যাচ ১১/১১/১৫ তে তিনি তুলে নিয়েসেন ৫টি উইকেট যা তাকে এক নতুন বিস্সয় সৃষ্টিতে সাহায্য করেছেন আজকের ম্যাচ এর স্কোর
স্কোর :
বাংলাদেশ, ৫০ ওভারে ২৭৬/৯ (তামিম ৭৩, ইমরুল ৭৩, মাহমুদুল্লাহ ৫২, মুশফিক ২৮, জংগুই ২/৫০)
জিম্বাবুয়ে, ৪৩.৩ ওভারে ২১৫ (উইলিয়ামস ৬৪, মুস্তাফিজ ৫/৩৪, সাব্বির ১/১২)
ফলাফল:
বাংলাদেশ ৬১ রানে জয়ী। (সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে)
ম্যান অফ দা সিরিজ : মুশফিকুর রহিম
আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক বড় হবার তৌফিক দান করেন এবং আমাদের দেশের নাম উজ্জল করতে পারে
সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক সুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের কাছে এমন একজন কে যাকে নিয়ে পুরো ওয়ার্ল্ড এ এখন তোলপার তার নাম হচ্ছে মুস্তাফিজুর রহমান আসুন তাহলে তার সম্পর্কে খুটি নাটি কিছু জানি
ব্যক্তিগত তথ্য :
- পূর্ণ নাম: মুস্তাফিজুর রহমান
- জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ (বয়স ২০) সাতক্ষীরা, খুলনা, বাংলাদেশ
- উচ্চতা: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
- ব্যাটিংয়ের ধরণ: বামহাতি ব্যাটসম্যান
- বোলিংয়ের ধরণ: বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
- ভূমিকা: বোলার
- সম্পর্ক: আবুল কাসেম গাজী (বাবা)
- মাহফুজা খাতুন (মা)
- মাহফুজার রহমান (বড় ভাই)
- মোখলেছুর রহমান পল্টু (সেজো ভাই)
তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০১২ সালে ফাস্ট-বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এরপর তাকে বিসিবি’র পেস ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের জন্যও তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
২০১৩-১৪ মৌসুমে খুলনার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আট উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ এ দলের সফরে অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এ সংক্ষিপ্ত সফরের পর অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তিনি বিবেচিত হন ও ধীরে ধীরে বলের বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। শুরুতে তার বলে পেস কম থাকলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।
খেলায় অভিষেক
এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ উইকেট লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন৷ ব্রায়ান ভিটোরি’র পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন মুস্তাফিজুর।
মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ওডিআইয়ের ইতিহাসেব যে-কোন বোলারের তুলনায় সেরা। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়। ভারতকে তিনি তৃতীয়বার ২০০ বা তার নীচে রান তুলতে বাধ্য করান। এরফলে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পায়। এ জয়ে বাংলাদেশ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে উত্তরণ ঘটায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও রুবেল হোসেন ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।[৫]
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে
বর্তমান এ বাংলাদেশে এ আসা জিম্বাবুয়ে এর সাথে তিন ম্যাচে মুস্তাফিজুর তুলে নিয়েছেন ৮ টি উইকেট।
প্রথম ম্যাচ এ কোনো উইকেট না পেলেও ২য় ম্যাচ এ পেয়েসেন ৩ টি উইকেট আর আজকের ম্যাচ ১১/১১/১৫ তে তিনি তুলে নিয়েসেন ৫টি উইকেট যা তাকে এক নতুন বিস্সয় সৃষ্টিতে সাহায্য করেছেন আজকের ম্যাচ এর স্কোর
স্কোর :
বাংলাদেশ, ৫০ ওভারে ২৭৬/৯ (তামিম ৭৩, ইমরুল ৭৩, মাহমুদুল্লাহ ৫২, মুশফিক ২৮, জংগুই ২/৫০)
জিম্বাবুয়ে, ৪৩.৩ ওভারে ২১৫ (উইলিয়ামস ৬৪, মুস্তাফিজ ৫/৩৪, সাব্বির ১/১২)
ফলাফল:
বাংলাদেশ ৬১ রানে জয়ী। (সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে)
ম্যান অফ দা সিরিজ : মুশফিকুর রহিম
আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক বড় হবার তৌফিক দান করেন এবং আমাদের দেশের নাম উজ্জল করতে পারে
Comments
Post a Comment